সর্বনাম-ضَمِيْرٌ

  • যমির-ضَمِيْرٌ কি
  • বাংলা ও ইংরেজীতে ضَمِيْرٌ মিল;অমিল
  • যমির-ضَمِيْرٌ এর চেহারাগুলো—
  • নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দই কেন ضَمِيْرٌ না?
  • তাহ্কীকের ময়দানে ضَمِيْرٌ
  • তারকিবের মাঠে ضَمِيْرٌ
  • মনে রাখতে হবে—
  • ছোটদের জন্য ضَمِيْرُ
  • যমির-ضَمِيْرٌ এর প্রকারভেদ
  • নিজেকে যাচাই করুন—

||>যমির-ضَمِيْرٌ কি?c

  • নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দটিই হচ্ছে যমির-ضَمِيْرٌ
  • সে/তারা/তুমি/তোমরা/আমি/আমরা/আমাকে/তুমাকে/তোমাদেরকে/তাদেরকে এগুলো বুঝানোর জন্য আরবিতে যে শব্দগুলো, এগুলো হচ্ছে— যমির-ضَمِيْرٌ
  • He/She/Him/His/Her/They/Them এগুলোর বদৌলতে আরবিতে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয় তাই হল— যমির-ضَمِيْرٌ
  • বাংলাতে যাকে ‘সর্বনাম’ বলা হয়, আরবিতে তাকেই বলা হয়— যমির-ضَمِيْرٌ
  • ইংরেজিতে যাকে ‘Pronoun’ বলা হয়, আরবিতে তাকেই বলা হয়— যমির-ضَمِيْرٌ
  • যমির-ضَمِيْرٌ ; উহা এক প্রকারের ইসম।
  • আরবিতে— هُوَ/هُمَا/هُمْ/هِيَ /هُمَا/هُنَّ/اَنْتَ/اَنْتُمَا/اَنْتُمْ/اَنْتِ اَتْتُمَا /اَنْتُنَّ/اَنَا/نَحْنُ এগুলো হচ্ছে— যমির-ضَمِيْرٌ
  • আবার هُ/هُمَا/هُمْ/هَا /هُمَا/هُنَّ/كَ/كُمَا/كُمَا/كُمْ/كِ كُمَا /كُنَّ/نِيْ/نَا এগুলো ও হচ্ছে— যমির-ضَمِيْرٌ
  • চূড়ান্তভাবে চিনে নিন—
    যতই হাবিজাবি-সংজ্ঞা,পরিচয়-বিবরণ-বর্ণনা যতকিছুই বলা হোক, যমির-ضَمِيْرٌ যদি চিনতে চান— [১৪×২=২৮] টি চেহারা নিজের চোখের সাথে সেভ করে দিন। এরাই মূলত যমির-ضَمِيْرٌ।এগুলোকে যেখানেই পাবেন, চোখ বন্ধ করে বলে ফেলবেন, ওনারাই— যমির-ضَمِيْرٌ। সংজ্ঞা/পরিচয়/প্রকার সবকিছু বুঝে শেষ করে ফেলছেন,কিন্তু; মাথায় ২৮ টি রূপ নেননি। তাহলে, সব গো-ল্লা। —••||যমির-ضَمِيْرٌ||••—

পরিচয়,
যমির-ضَمِيْرٌ শব্দটি [ض-م-ر] মূল থেকে গঠিত। যার শাব্দিক অর্থ— ★ اَلْاِضْمَارُ ★গোপন করা ★ اَلْاِخْفَاءُ ★To Hide ইত্যাদি। যেহেতো, যমির-ضَمِيْرٌ আসার দ্বারা বিশেষ্য বা ইসমের অনুপস্থিতি বা গোপন থাকা বুঝায়, তাই তাকে যমির-ضَمِيْرٌ নামে নামকরণ করা হয়েছে। উদাহরণত– যখন বলা হয়, ‘আমার ভাই শোয়াইব।সে খুব মেধাবী ছাত্র।’ দ্বিতীয় বাক্যে— ‘সে’ বলতে এখানে ‘করিম’ বুঝানো হয়েছে। ‘করিম’ শব্দটি এখানে গোপন রয়েছে। তবে, পরিভাষার সাথে একটু ভিন্নতা রয়েছে। পরিভাষায় শাব্দিক অর্থ না বলে, ব্যকরণের সাথে মিল রেখে বলা হয়— ‘সর্বনাম’। যা আরবিতে Pronoun এর সমমান। কেউ বলেন— নামের পরিবর্তে যে নাম, তাকে বলে সর্বনাম।

সহজভাবে,
সে/তারা/তুমি/তোমরা/তুমার/তাকে/তার/আমার/আমি/আমরা/আমাদের/তুমার এগুলোকে আরবিতে বলে— ضَمِيْرُ

বলা হয়,
নামের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা নাম পুরুষ, মধ্যম পুরুষ ও উত্তম পুরুষ এর প্রতিনিধিত্ব করে, তাকে ضَمِيْرُ বা সর্বনাম বা Pronoun বলা হয়।যেমন– هُوَ ; সে, كُمْ ;তোমরা, ইত্যাদি।

তবে মনে রাখতে হবে,
যমির-ضَمِيْرٌ এর মতো বহু শব্দ আছে যারা ব্যক্তি, বস্তু বা কোন বিষয়ের নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।কিন্তু এরা যমির-ضَمِيْرٌ না।যেমন– مَنْ কে/যে।
একটি প্রশ্ন ও উত্তরঃ যমির-ضَمِيْرٌ এর মতো আরো অনুরূপ শব্দ আছে।কিন্তু; ঐগুলো যমির-ضَمِيْرٌ নয় কেন? কারণ— ঐগুলোর [উত্তম পুরুষ, মধ্যম পুরুষ, নাম পুরুষ] এগুলো অনুপস্থিত।

সংশ্লিষ্টতা
আরবিতে যত শব্দ আছে, সকল শব্দ তিনটা ক্যাটাগরির অন্তরভূক্ত। [اِسْمٌ ||فِعْلٌ||حَرْفٌ ] এখন, ইসম-اِسْمٌ ; উৎসগত দিক থেকে তিন প্রকার।
[اِسْمٌ جَامِدٌ||اِسْمٌ مَصْدَرٌ ||اِسْمٌ مُشْتَقٌّ ]
যেটা اِسْمٌ جَامِدٌ ; উহা আবার দুই প্রকার।
[مَعْرِفَةٌ ||نَكِرَةٌ ]
এখন, مَعْرِفَةٌ সর্বমোট আট প্রকার।
عَالَمٌ ||>ضَمِيْرُ <||الاَسْمَاءُ الْاِشَارَاتُ||الْاَسْمَاءُ الْمَوْصُوْلَاتُ||مُضَافٌ ||مُعَرَّفٌ بِالَّامِ||مُنَادٰى||الْاَسْمَاءُ الْعَدَدِ

||> সর্বমোট যমির-ضَمِيْرٌ কতগুলো?

যমির-ضَمِيْرٌ গুলো সর্বমোট ৭০ টি। যা মূলতঃ দুটি রূপের পরিবর্ধিত রূপ। প্রধান দু’টি রূপ যথাক্রমে—


هُوَ/هُمَا/هُمْ
هِيَ /هُمَا/هُنَّ
اَنْتَ/اَنْتُمَا/اَنْتُمْ
اَنْتِ اَتْتُمَا /اَنْتُنَّ
اَنَا/نَحْنُ


هُ/هُمَا/هُمْ
هَا /هُمَا/هُنَّ
كَ/كُمَا/كُمْ
كِ/ كُمَا /كُنَّ
نِيْ/نَا


যমির-ضَمِيْرٌ এর ৭০ টি রূপ মূলত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। যথাঃ–

১ম ভাগঃ ১৪ টি
هُوَ/هُمَا/هُمْ
هِيَ /هُمَا/هُنَّ
اَنْتَ/اَنْتُمَا/اَنْتُمْ
اَنْتِ اَتْتُمَا /اَنْتُنَّ
اَنَا/نَحْنُ

২য় ভাগঃ فِعْلٌ এর সাথে যে যমির-ضَمِيْرٌ মিলিত থাকে।উনারা মোট ১৪ জন।যথা–
فَعَلَ/فَعَلَا/فَعَلُوْا
فَعَلَتْ/فَعَلَتَا/فَعَلْنَ
فَعَلْتَ/فَعَلْتُمَا/فَعَلْتُمْ
فَعَلْتِ/فَعَلْتُمَ/فَعَلْتُنَّ
فَعَلْتُ/فَعَلْنَ

৩য় ভাগঃ اِيَّا এর সাথে মিলিত হয়ে আসে ১৪ জন।উনারা হলেন—
اِيَّاهُ/اِيَّاهُمَا/اِيَّاهُمْ
اِيَّاهَا /اِيَّاهُمَا/اِيَّاهُنَّ
اِيَّاكَ/اِيَّاكُمَا/اِيَّاكُمْ
اِيَّاكِ/ اِيَّاكُمَا /اِيَّاكُنَّ
اِيَّايَ/اِيَّانَا

৪র্থ ভাগঃ فِعْلٌ এর শেষে যুক্ত হয়ে আসে ১৪ জন।উনারা হলেন—

ضَرَبَهُ/ضَرَبَهُمَا/ضَرَبَهُمْ
ضَرَبَهَا /ضَرَبَهُمَا/ضَرَبَهُنَّ
ضَرَبَكَ/ضَرَبَكُمَا/ضَرَبَكُمْ
ضَرَبَكِ/ ضَرَبَكُمَا /ضَرَبَكُنَّ
ضَرَبَنِيْ/ضَرَبنَا

৫ম ভাগঃ উনারা حَرْفٌ جَارٌّ এর সাথে মিলিত হয়ে আসে। উনারা ১৪ জন। যথা–

لَهُ/لَهُمَا/لَهُمْ
لَهَا /لَهُمَا/لَهُنَّ
لَكَ/لَكُمَا/لَكُمْ
لَكِ/ لَكُمَا /لَكُنَّ
لِيْ/لَنَا

সূতরাং— [১৪×৫=৭০]

||> যমির-ضَمِيْرٌ এর তাহ্কীক করতে হয় যেভাবে—

তাহ্কীক মানে বিশ্লেষণ। অর্থাৎ, শব্দ বিশ্লেষণ। এখন, তাহ্কীক যদি হয়— فِعْلٌ এর ; সেক্ষেত্রে بَحَثٌ/صِيْغَةٌ /بَابٌ/ مَصْدَرٌ /مَادَّةٌ/جِنْسٌ/مَعْنٰى ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ করলেই এনাফ। অপরদিকে, আমরা যদি اِسْمٌ এর তাহ্কীক করতে যাই; সেক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় উল্লেখ করা যায়—

  • শব্দটি— اِسْمٌ/فِعْلٌ /حَرْفٌ
  • শব্দটি— اِسْمٌ جَامِدٌ /اِسْمٌ مَصْدَرٌ /اِسْمٌ مُشْتَقٌّ
  • শব্দটি— مَعْرِفَةٌ /نَكِرَةٌ
  • শব্দটি— عَالمٌ/ضَمِيْرُ /اِسْمٌ اِشَارَةٌ /اِسْمٌ مَوْصُوْلَةٌ/مُضَافٌ /مُعَرَّفٌ بِالَّامِ/مُنَادٰى
  • শব্দটি— اِسْمُ الْجِنْسِ /اِسْمُ الْمَكَانِ/ اِسْمُ الرَّجُل
  • শব্দটি— ضَمِيْرُ مَرْفُوْعٌ /ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ /ضَمِيْرٌ مَجْرُوْرٌ
  • শব্দটি— ضَمِيْرٌ مُتَّصِلٌ/ضَمِيْرٌ مُنْفَصِلٌ
  • শব্দটি— مُنْصَرِفٌ / غَيْرُ مُنْصَرِفٍ
  • শব্দটি— وَاحِدٌ /تَثْنِيَةٌ /جَمْعٌ
  • শব্দটি— مُؤَنَّثٌ /مُذَكَّرٌ
  • শব্দটি— جَمْعٌ مُكَسَّرٌ/جَمْعٌ سَالِمٌ
  • শব্দটি— جَمْعٌ قِلَّةً/جَمْعٌ كَثرة/جَمْعٌ مُنْتَهٰى الْجُمُوْعِ
  • শব্দটি ’একবচন’ হলে তার ‘বহুবচন’ কি/ ‘বহুবচন’ হলে তার ‘একবচন’ কি?
  • শব্দটি مُؤَنَّثٌ হলে তার مُذَكَّرٌ কি/مُذَكَّرٌ হলে তার مُؤَنَّثٌ কি?
  • মাদ্দাহ বা মূলাক্ষর কি?

ইত্যাদি আরো নানাবিধ বিষয় উল্লেখ করা যায়। কিন্তু; আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে তাহ্কীক করবো, সেটা হচ্ছে— যমির-ضَمِيْرٌ

যমির-ضَمِيْرٌ এর তাহ্কীক এর বেলায় আমরা যে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারি।তা হল—

  • শব্দটি— اِسْمٌ
  • শব্দটি— اِسْمٌ جَامِدٌ
  • শব্দটি— مَعْرِفَةٌ
  • শব্দটি— ضَمِيْرُ
  • শব্দটি— ضَمِيْرُ مَرْفُوْعٌ /ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ /ضَمِيْرٌ مَجْرُوْرٌ
  • শব্দটি— ضَمِيْرٌ مُتَّصِلٌ/ضَمِيْرٌ مُنْفَصِلٌ
  • শব্দটি— ضَمِيْرٌ بَارِزٌ/ضَمِيْرٌ مُسْتَتِرٌ
  • শব্দটি— مَبْنِيٌّ
  • শব্দটি— مُشَابَهٌ لِلٍمَبْنِيِّ/ مَبْنِيٌّ الَاصْلِ
  • শব্দটির সীগাহ্ —
  • শব্দটি ضَمِيْرُ الْفَصْلِ/ضَمِيْرُ القِصَّةِ/ضَمِيْرُ الشَّانِ
  • কুরআনুল কারীমে ব্যবহার—
  • অর্থ—

উদাহরণতঃ

★نَصَرَكُمْ★
كَلِمَةُ اِسْمٌ || اِسْمٌ جَامِدٌ|| مَعْرِفَةٌ|| ضَمِيْرُ || مَبْنِيٌّ || مُشَابَهٌ لِلٍمَبْنِيِّ || ضَمِيْرٌ بَارِزٌ|| ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ || ضَمِيْرٌ مُتَّصِلٌ || يُسْتَعْمَلُ للجمع مُذَكَّرٌ حَاضِرٌ || جَاءَ فِى القُرْاٰنِ الْمَجِيْد—
وَ لَقَدْ نَصَرَكُمُ اللّٰهُ بِبَدْرٍ وَّ اَنْتُمْ اَذِلَّةٌ١ۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْن [سورة اٰل عمران—١٢٣] وَ مَعْنَاهُ—
তোমাদের সকল পুরুষকে।

||> যমির-ضَمِيْرٌ এর প্রকারভেদ—

যমির-ضَمِيْرٌ বা সর্বনাম গুলো প্রকারভেদ নিয়ে কিছু চমৎকার আলোচনা রয়েছে। আর ‘প্রকার’ খুঁজে–বুঝে ডিফাইন করাটা অন্যতম একটি ব্যপার। যমির-ضَمِيْرٌ শিখার ক্ষেত্রে মুখস্ত করা ও বুঝা দুটো মিলে প্রধানত দুটি বিষয়ই বেশ ইম্পর্ট্যান্ট।যথা–

এক.
সবগুলো যমির-ضَمِيْرٌ অর্থাৎ ২৮ টি রূপ নখদর্পনে রাখা। বলতে গেলে— মুখস্ত, ঠুটস্ত,কন্ঠস্ত, আত্মস্ত করে ফেলতে হবে।
দুই.
যমির-ضَمِيْرٌ গুলো মুখস্থ করার পরবর্তীতে প্রকারগুলো বুঝতে হবে—

  • কোন যমির-ضَمِيْرٌ?
  • কোথায়?
  • কেন?
  • কি নাম ধারণ করেছে?

তবে, একটা কথা মাথায় গাঁথতে হবে—
যমির-ضَمِيْرٌ এর প্রকারগুলো ডিটেক্ট করতে পারার জন্য ‘১৬ প্রকার ইসমের ৯ প্রকার ই’রাব’ বুঝে রাখাটা প্লাস পয়েন্ট।

এবার আসি মূল আলোচনায় তথা প্রকারভেদ নিয়ে। • যমির-ضَمِيْرٌ গুলো প্রথমত তিন প্রকার।যথা–
→ যমিরে মারফু’–ضَمِيْرٌ مَرْفُوْعٌ
→ যমিরে মানসুব– ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ
→ যমিরে মাজরূর– ضَمِيْرٌ مَجْرُوْرٌ

  • যমির-ضَمِيْرٌ গুলো আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা–
    → যমিরে মুত্তাসিল–ضَمِيْرٌ مُتَّصِلٌ
    → যমিরে মুনফাসিল– ضَمِيْرٌ مُنْفَصِلٌ

আরেকটু বিস্তারিত বললে—

যমিরে মারফু’–ضَمِيْرٌ مَرْفُوْعٌ যেভাবে চেনা যাবে


প্রথমত, মনে থাকার জন্য হিন্টস দেই—এখানে, দুটো শব্দ।
এক. ‘ضَمِيْرٌ’ যাহা সম্পর্কে আমরা প্রথম পর্বে জেনেছি।
দুই. ‘مَرْفُوْعٌ’ যার অর্থ– যাকে রফা’ বা পেশের অবস্থান দেওয়া হয়েছে। জেনে রাখা ভালো; ‘مَرْفُوْعٌ’ মানে হলো পেশের অবস্থা। অর্থাৎ, পেশ দেখতে যে সবসময় (ــــُــٌ) এমন হবে, ব্যপারটা সঠিক নয়। পেশ দেখতে কয়েক রকম হতে পারে।যেমন–

প্রথমত ; এক/দুই পেশ— (ـــٌـ)قَلَمٌ/كِتَابٌ
দ্বিতীয়ত; ওয়াও সাকিন পূর্বাক্ষর পেশ— مُسْلِمُوْنَ
তৃতীয়ত ; আলিফ খালি পূর্বাক্ষর যবর— قَلَمَانِ
চতুর্থত ; খাড়া যবর— مُوْسٰى

সোজাকথায়— ইবারত পড়তে গেলে যমির-ضَمِيْرٌ টি বর্তমানে যদি পেশের অবস্থানে বসে থাকে, তবে এটাই হচ্ছে— যমিরে মারফু’–ضَمِيْرٌ مَرْفُوْعٌ
যেমন– ضَرَبَهُ كَرِيْمٌ–করিম তাকে মারল।
[ضَرَبَ–মারল || هُ–তাকে||كَرِيْمٌ–করিম]
এখানে, ‘هُ’ যে শব্দটা আছে— সেটাই যমির-ضَمِيْرٌ।প্রশ্ন হলো— এটা কোন প্রকারের ضَمِيْرٌ?
উত্তর— এটা হল— ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ
প্রশ্ন হলো— কেন ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ?
উত্তর— আমরা জানি, ফে’ল বা ক্রিয়াকে ‘কি/কাকে’ দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর আসে, তাকে বলা হয়— মাফউল–مَفْعُوْلٌ। আমরা জানি, মাফউল–مَفْعُوْلٌ নসব এর ই’রাব গ্রহন করে। আর এখানে ‘هُ’ যমির-ضَمِيْرٌ টি যেহেতো মাফউল–مَفْعُوْلٌ এর জায়গায় এসেছে।সূতরাং এ প্রকার যমির-ضَمِيْرٌ এর নাম হচ্ছে — যমিরে মানসুব– ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ

যমিরে মানসুব– ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ যেভাবে চেনা যাবে


সহজে মনে রাখার জন্য বলি— مَنْصُوْبٌ শব্দটির মূলাক্ষর যদি আমরা খেয়াল করি।অর্থাৎ, [ن–ص–ب] বা নসব বা যবর। যবর হয় কয়েকভাবে।যথা–

যমিরে মাজরূর– ضَمِيْرٌ مَجْرُوْرٌ যেভাবে চেনা যাবে


কখন যমিরে মুত্তাসিল–ضَمِيْرٌ مُتَّصِلٌ বলা হয়?

কখন যমিরে মুনফাসিল– ضَمِيْرٌ مُنْفَصِلٌ বলা হয়?

সকলগুলোকে আমরা একসাথে করে বলতে পারি—
যমির-ضَمِيْرٌ সর্বমোট পাঁচ প্রকার।যথা–
১. ضَمِيْرٌ مَرْفُوْعٌ مُتَّصِلٌ
২. ضَمِيْرٌ مَرْفُوْعٌ مُنْفَصِلٌ
৩. ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ مُتَّصِلٌ
৪. ضَمِيْرٌ مَنْصُوْبٌ مُنْفَصِلٌ
৫. ضَمِيْرٌ مَجْرُوْرٌ مُتَّصِلٌ

1 thought on “সর্বনাম-ضَمِيْرٌ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top