বিশেষ্য-اِسْمٌ

  • ইসম-اِسْمٌ কি?
  • বাংলা ও ইংরেজীতে ইসম-اِسْمٌ ; মিল- অমিল
  • ইসম-اِسْمٌ এর চেহারাগুলো চিনবো যেভাবে—
  • ইসম-اِسْمٌ কি রূপান্তর হয় ?
  • তাহ্কীকের ময়দানে ইসম-اِسْمٌ
  • তারকিবের মাঠে ইসম-اِسْمٌ
  • মনে রাখতে হবে—
  • ছোটদের জন্য ইসম-اِسْمٌ
  • ইসম-اِسْمٌ এর প্রকারভেদ
  • নিজেকে যাচাই করুন—

||> ইসম-اِسْمٌ কি?

  • ইসম-اِسْمٌ মানে— নাম।
  • যে শব্দ দ্বারা কোন কিছুর নাম বুঝায়, সেটাই ইসম-اِسْمٌ ।
  • যে শব্দ দ্বারা কোন কাজ করা/যাওয়া/হওয়া বুঝায় না, নিজেই নিজের অর্থ বুঝাতে সক্ষম। এমন শব্দই ইসম-اِسْمٌ।
  • ইসম-اِسْمٌ গুলো সাধারণত অরূপান্তরশীল। তবে, সামান্য ‘কিন্তু’ আছে। যা সামনে আলোচনায় আসছে। ইনশাআল্লাহ্
  • বাংলাতে যাকে বিশেষ্য, আর ইংরেজিতে যাকে Noun বলছেন। আরবিতে উনিই হলেন— ইসম-اِسْمٌ। তবে, একটু ‘কিন্তু’ আছে। যেটা সামনে আলোচনায় আসবে।ইনশাআল্লাহ্
  • আরেকটু যৌক্তিকভাবে বললে— যে শব্দ [অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত] তিন কালের কোন কাল বুঝায় না। পাশাপাশি, নিজের অর্থ বুঝানোর জন্য অপরের হেল্প/সাহায্য ও প্রয়োজন হয় না। এমন শব্দই ইসম-اِسْمٌ।

||> বাংলা ও ইংরেজীতে ইসম-اِسْمٌ ; মিল- অমিল

  • বাংলা ব্যকরণে শব্দভান্ডার কে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ-
    [বিশেষ্য|| বিশেষণ||সর্বনাম||অব্যয়||ক্রিয়া]
  • ইংরেজি গ্রামারে বাক্যের প্রত্যেকটা অংশ/শব্দকে সর্বমোট ৮ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথাঃ-
    [ Noun ||Pronoun ||Adjective ||Verb ||Adverb ||Preposition ||Conjunction ||Interjection]
  • আরবি কাওয়াইদে শব্দগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। যথাঃ-
    [اِسْمٌ || فِعْلٌ || حَرْفٌ ]
    অর্থাৎ, ইসম-اِسْمٌ মানে হলো—
    বাংলাতে → বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম।
    কেননা, প্রথমত— ‘সর্বনাম’ পরিভাষাটি আরবিতে ইসম-اِسْمٌ এর ই একটি প্রকার/অংশ। যাকে আরবিতে বলা হয়,৷ যমির- ضَمِيْرٌ।
    দ্বিতীয়ত— ‘বিশেষণ’ পরিভাষাটি আরবি ব্যাকরণে শব্দপ্রকরণ সাথে রিলেটেড কোন ব্যপার নাহ্। তবে, বাক্যপ্রকরণে, বিশেষ্য ও বিশেষ্যের বিশেষণ মিলে একপ্রকারের আংশিক বাক্য তৈরি হয়। যা মূলত নাম বিশেষণ ই বুঝায়। যেমনঃ নতুন কলম, সুন্দর টুপি ইত্যাদি। আরবিতে যার একটিকে বলা হয়, মাওসুফ-مَوْصُوْفٌ অপরটিকে বলা হয়, সিফত-صِفَةٌ।
    আবার, বাংলা ব্যকরণে রয়েছে— বিশেষণের অতিশায়ন। ইংরেজিতে যেটা Degree [Simple, Superlative, Comparative] আরবিতে সেটা ভিন্ন অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে। তবে, মোদ্দাকথায় ডিরেক্ট ‘বিশেষণ’ নিয়ে আরবি ব্যাকরণে যেখানেই আলোচনা হউক। তা দ্বারা ‘নাম বিশেষণ’ ই বুঝানো হয়েছে। আরবিতে ক্রিয়া বিশেষনগুলো একেক জায়গায় ভিন্ন নাম ধারণ করেছে। যেমনঃ কোথাও হাল-حَالً, আবার কোথাও তাময়িয-تَميِيْزٌ ইত্যাদি। তবে, তা দ্বারাও নাম শব্দ ই বুঝানো হয়েছে। ক্রিয়া বা অব্যয়জাত শব্দ নয়। তাই, বিশেষণ ও আরবিতে ইসম-اِسْمٌ এর ই অন্তর্ভুক্ত।

ইংরেজিতে →Noun- বিশেষ্য|| Pronoun-সর্বনাম|| Adjective- নাম বিশেষণ || Adverb-ক্রিয়া বিশেষণ।
বাংলা ব্যকরণের আলোচনার সাথে ইংরেজি ব্যকরণের আলোচনা চলে এসেছে । সূতরাং, পূণরুল্লেখ নিষ্প্রয়োজন মনে করছি।

||> ইসম-اِسْمٌ এর চেহারাগুলো চিনবো যেভাবে—
আরবিতে ইসম-اِسْمٌ বা বিশেষ্যজাত শব্দগুলো চেনার বেশ কিছু উপায়/ আলামত আছে। যেমন–

  • শব্দটির শুরুতে ‘ال’ থাকবে। যেমনঃ- اَلْكِتَابُ ، القُرْاٰنُ ইত্যাদি।
  • শব্দটির শেষে গোল তা (ة) থাকবে। যেমনঃ- مَدْرَسَةٌ، عَالِمَةٌ، عَاصِمَةٌ ইত্যাদি।
  • শব্দটির শেষে তানভীন (—ً/—ٍ/—ٌ) থাকবে। যেমনঃ- بَيْتٌ، كُرْسِيٌّ، بَابٌ ইত্যাদি।
  • শব্দটি দবারা সংখ্যা বুঝালে, শব্দটি ইসম-اِسْمٌ। যেমনঃ- ثَلَاثَةَ ، تِسْعَةَ عَشَرَ ইত্যাদি।
  • শব্দটি দ্বারা নাম বুঝাবে। হতে পারে মানুষের নাম/বস্তুরনাম/ স্থানের নাম। যেমনঃ عَادِلٌ ، اَحْنَفُ، خَدِيْجَةُ / دَكًا، سِلْهِتْ/ قَلَمُ ، كُرَّاسَةٌ ইত্যাদি।
  • শব্দটি— সর্বনাম বা যমির- ضَمِيْرٌ হবে। যেমনঃ- هُم، هُنَّ [সহজে চেনার জন্য যমির- ضَمِيْرٌ এর রূপ টুটাল— ২৮ টি।এগুলো মুখস্থ করে নেওয়াটা ই সর্বোত্তম]
  • শব্দটি ইঙ্গিতসূচক শব্দ বা ইসমে ইশারা-اِسْمٌ اِشَارَةٌ হবে। যেমনঃ- هٰذَا، ذَالِكَ ইত্যাদি। [সহজে চেনার জন্য ইসমে ইশারা-اِسْمٌ اِشَارَةٌ এর রূপ টুটাল— ১২ টি।এগুলো মুখস্থ করে নেওয়াটা ই সর্বোত্তম]
  • শব্দটি সংযোজ্ঞাপক বিশেষ্য বা ইসমে মাওসুল- اِسْمٌ مَوْصُوْلٌ হবে। যেমনঃ- اَلَّذِيْ ، الَّتِي، مَا ইত্যাদি। [সহজে চেনার জন্য ইসমে মাওসুল- اِسْمٌ مَوْصُوْلٌ এর রূপ সাধারণত— ৬ টি।এগুলো মুখস্থ করে নেওয়াটা ই সর্বোত্তম]
  • পাশাপাশি অবস্থিত দুটি শব্দের একটি মা’রেফা-مَعْرِفَةٌ ভিন্নটি নাকেরা-نَكِرَةٌ হলে। উভয় শব্দই সাধারণত ইসম-اِسْمٌ হয়। যেমনঃ عَبْدُ اللّٰهِ
  • আহবানসূচক অব্যয় ( يَا، اَيَا، هَيَا، اَيْ، أَ) এর পরবর্তী শব্দ সাধারণত ইসম-اِسْمٌ হয়। যেমনঃ- يَا عَلِيٌّ
  • অব্যয়গুলো নির্ধারিত। পাশাপাশি সংখ্যায় ও কম। সূতরাং, যদি কোন শব্দে ফে’ল- فِعْلٌ এর কোন আলামত না থাকে। তবেই সেটা ইসম-اِسْمٌ ||> ইসম-اِسْمٌ কি রূপান্তর হয় কি হয় না!?
  • রূপান্তর মানে এক রূপ থেকে অন্য রূপ ধারণ করা। ছিল فَعَلَ রূপ পরিবর্তন করে— فَعَلَا، فَعَلُوا، فَعـلْنَ ইত্যাদি হয়েছে।
  • রূপ পরিবর্তন করা বা রূপান্তরিত হওয়া সাধারণত ক্রিয়া বা ফে’ল- فِعْلٌ এর স্বভাব। এজন্য, আরবি বৈয়াকরণিকগণ বলে থাকেন— ফে’ল- فِعْلٌ মানে বহুরূপী। তবে, কিছু কিছু اِسْمٌ ও রূপান্তর হয়। এগুলোকে আরবিতে বলা হয়— اَسْمَاءٌ مُتَمَكِّنَةٌ
  • আরবি ব্যকরণকে প্রধাণত যে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। তন্মধ্যে একটি হল— নাহু। আর অপরটি— সরফ। আর সরফ এর আলোচ্য বিষয় দুটি—
    এক. রূপান্তরশীল ক্রিয়া- الْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ
    দুই. পরিবর্তনশীল৷ বিশেষ্য- اَسْمَاءٌ مُتَمَكِّنَةٌ
  • যে সকল ইসম-اِسْمٌ গুলো পরিবর্তন হয়। সেগুলো হলো—

||> তাহ্কীকের ময়দানে ইসম-اِسْمٌ?

প্রশ্নঃ রূপান্তরশীল না হলেই ইসম? কিন্তু; قَلَمُ থেকে اَقْلَامٌ হয়েছে। এটা তো اسم। আবার যমির ও اسم اشارة তে ও তো বচন ও লিঙ্গের পরিবর্তন আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top